লালমনিরহাট সদর উপজেলায় কামারশালার ব্যবসায়ী হাবিব হত্যা মামলার আসামী এরশাদুলকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত এরশাদুল লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বুমকা এলাকার নুরজামালের পুত্র।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বুমকা এলাকার মোঃ আব্দুল গনির ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব মোটর সাইকেল যোগে তৈরীকৃত কামারী জিনিসপত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার খড়িবাড়ী হাটে যায়। হাট থেকে হাবিব রাত ১১টার দিকেও ফেরত না আসায় পরিবারের লোক হাবিবের ফোনে কল দেয় এবং ফোন বন্ধ পায়। পর দিন ২৭ অক্টোবর সকালে লোক মুখে হাবিবের লাশ লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের শিবেরকুটির ধরলা নদীর তীর সংলগ্ন কলা বাগানে পড়ে আছে খবর পায় পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলায় পুলিশ তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন আসামী মোঃ এরশাদকে ঢাকার কাওরান বাজার থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাবাদ করে। পরে হাবিবুর রহমান হাবিবকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে এরশাদ স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেয়। আসামীর জবানবন্দি মতে হত্যায় ব্যবহৃত হাতুরী উদ্ধার ও জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে চুড়ান্ত অভিযোগ পত্র জমা দিলে আদালত উভয়ের পক্ষের শুনানি শেষে হাজতী আসামী মোঃ এরশাদকে দন্ড বিধির ৩০২ ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা করে। অর্থ দন্ড পরিশোধে ব্যর্থতায় এরশাদকে আরও ১ (এক) বৎসর কারাদন্ড ভোগ করতে হবে এবং এরশাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড আমৃত্যু কারাদন্ড হিসাবে বিবেচিত হবে বলে রায় ঘোষণা দেয় আদালত।